বইয়ের প্রতি ভালোবাসা কি বদলাচ্ছে? ২০২৫-এর পাঠ-চিত্র

নিটশে কি এই প্রজন্মে রিলেভেন্ট?

টিকটকের সময়ে রবীন্দ্রনাথ : আজকের যুগে টিকতে পারবে?

গ্ল্যামারের আড়ালে মেরিলিন মনরোর জীবন
ফিচার

নজরুল: আগুনের ফুলকি, মানুষের কবি
আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, বাংলার প্রখর রৌদ্রে জ্বলে উঠেছে এক চেতনার দীপ্তিময় শিখা। আজ কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন—একশো ছাব্বিশ বছর আগে এই দিনে চুরুলিয়ার আকাশে এক বিদ্রোহী নক্ষত্রের উদয় হয়েছিল, যার আলো আজও নিভেনি, নিভবেও না। তিনি ছিলেন কেবল কবি নন—তিনি ছিলেন এক রণধ্বনি, এক স্বপ্ন, এক দুর্বার আকাঙ্ক্ষার নাম। কখনো আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলে উঠেছেন, আবার কখনো নদীর মতো শান্ত স্রোতে গান বেঁধেছেন প্রেমের, ভালোবাসার, মানবতার। নজরুল ছিলেন বিদ্রোহী, কিন্তু সেই

মা, তুমি আছো বলেই আকাশটা এখনো নীল
“মা”— এই এক অক্ষরের শব্দটি যেন বিশ্বজগতের সব আলো, সব উষ্ণতা, সব ভালোবাসার এক কেন্দ্রমণি। মা হলেন সেই অস্তিত্ব, যিনি নিজের জীবন দিয়ে গড়ে তোলেন আরেকটি জীবন। আর সেই জীবনকে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: এক কবির জীবনের শতরঙা ছায়াচিত্র
যদি বলেন, বাংলা সাহিত্য কার কাছে সবচেয়ে বেশি ঋণী—একটি নামই কানে বাজবে: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তবে তিনি শুধু কবি নন। তিনি যেন এক সত্তা—যাঁর হৃদয়জুড়ে ছিল সঙ্গীত, শিল্প, দর্শন, প্রেম, প্রতিবাদ,
জীবন, কর্ম ও আত্মজীবনী

জহির রায়হান : এক ক্যামেরাধারীর বিদ্রোহ
বাংলাদেশের সাহিত্য ও চলচ্চিত্র ইতিহাসে জহির রায়হান কেবল একটি নাম নন—তিনি এক ঝড়। তিনি এমন একজন শিল্পী, যিনি শব্দে, ক্যামেরায় ও হৃদয়ে বিদ্রোহের ছবি এঁকেছেন। তাঁর জীবন ছিল এক অসমাপ্ত কবিতা, যার প্রতিটি চরণ ছিল স্বপ্ন ও স্বদেশের প্রতি একাগ্র প্রেম। ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট, ফেনীর মধুপুর গ্রামে জন্ম। শৈশব কেটেছে ব্রিটিশ শাসনের অন্তিম লগ্নে। দেশভাগের কালো ছায়া যখন এপার-ওপারকে বিভক্ত করে দিচ্ছিল, তখনই এক কিশোর মনের ভেতর গেঁথে নিচ্ছিল মানুষের কান্না, দুর্ভিক্ষ, অপমান, বিদ্রোহ—আর এসবই পরে পরিণত হয় তার

পারভীন শাকির : এক অনন্য নারীভাষ্যকারের স্মৃতিচারণ
“সে তো এক সুগন্ধ—হাওয়ার সাথে মিলিয়ে যাবে,সমস্যা ফুলের, সে কোথায় যাবে?” কতটা বিষাদ, কতটা রোমান্টিকতা আর কতটা আত্ম-উপলব্ধির কথা লুকিয়ে আছে এই পঙক্তিটিতে। পারভীন শাকির—একটি নাম, একটি কণ্ঠস্বর, এক অসীম কোমলতার কবি, যিনি উর্দু কবিতার পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙে নারীর হৃদয়ের গভীর আবেগ ও আত্ম-অভিজ্ঞতাকে শব্দে রূপ দিয়েছিলেন। জন্ম এবং বেড়ে ওঠাপারভীন শাকির জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫২ সালের ২৪ নভেম্বর, করাচি শহরে, একটি শিক্ষিত এবং সংস্কৃতিমনা পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য ও ভাষার প্রতি তাঁর গভীর আকর্ষণ ছিল। পারভীন ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও

আমাদের এক প্রতিরোধী কণ্ঠস্বর : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ: একটি প্রতিরোধী কণ্ঠস্বর, একটি অমর রোমান্টিকতা“ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো” এক পরিচিত নাম, এক অপরিচিত গভীরতারুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ—বাংলা কবিতার সেই কণ্ঠস্বর, যিনি সাহসের সঙ্গে বলেছিলেন, “আমি কিংবদন্তির কথা বলছি।” কিন্তু আজ আমরা কি সত্যিই তাঁকে যথাযথভাবে স্মরণ করি? তাঁর কবিতা শুধু আবেগ নয়, ছিল এক ধরনের আত্মঘাতী সততা, চরম প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতার ভাষ্য এবং স্বপ্নভঙ্গের গোপন হাহাকার। কবিতা তাঁর কাছে শুধু শিল্প ছিল না, ছিল অস্তিত্বরুদ্র ছিলেন সেই কবি, যিনি শব্দ দিয়ে শুধু প্রেমের গান

শেষ সাক্ষাৎকার: জগজিৎ সিংয়ের আত্মকথন
তুঝসে জুদা“সদমা তো হ্যায় মুঝে ভি কে তুঝসে জুদা হুঁ ম্যায়” জগজিৎ সিং তাঁর মৃত্যুর ঠিক এক সপ্তাহ আগে The Pioneer-কে দেওয়া শেষ সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন:“আপনি যত সহজ ভাষায় কথা বলবেন, শ্রোতা তত গভীরভাবে আপনাকে অনুভব করবে।” “আমি একজন গায়ক, যে গজলও গাইতে পারে।”এইভাবে নিজেকে সংজ্ঞায়িত করতেন কিংবদন্তি গজলশিল্পী পদ্মভূষণ জগজিৎ সিং। তিনি ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর সকালে মৃত্যুবরণ করেন, মাত্র ক’দিন আগে, ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রেন হ্যামারেজ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।এই বছর তাঁর ৭০তম জন্মদিন উদযাপন করার ইচ্ছে ছিল—৭০টি কনসার্টের মাধ্যমে।
সাক্ষাৎকার

সাক্ষাৎকারে ইরানি পরিচালক জাফর পানাহী
জাফর পানাহি, যিনি ১৯৬০ সালে ইরানের মিয়ানে শহরে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি মাত্র দশ বছর বয়সেই তার প্রথম বই লেখেন, যা পরবর্তীতে একটি সাহিত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করে। ছোটবেলাতেই তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে পরিচিত হন: ৮ মিমি ফিল্মে সিনেমা নির্মাণ, একটি ফিল্মে অভিনয় এবং আরেকটিতে সহকারী হিসেবে কাজ করা—এইসবের মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি ফটোগ্রাফিতেও মনোনিবেশ করেন। সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর, তিনি ইরান-ইরাক যুদ্ধ (১৯৮০-৯০) চলাকালীন একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন, যা

আমি কেন লিখি – জর্জ অরওয়েল
আমরা আমাদের আনন্দগুলোকে পঙ্গু করে ফেলি কিংবা লুকিয়ে রাখি; ঘোড়াগুলো তৈরি হয়েছে ক্রোমিয়াম স্টিল দিয়ে, আর সেগুলোর পিঠে চড়ে বসে ছোট ছোট মোটা মানুষগুলো। আমি সেই কেঁচো, যে কখনও ফোটে না, আমি সেই খোজা, যার কোনো হারেম নেই; যাজক আর কমিশনারের মাঝখানে আমি হাঁটি ইউজিন আরামের মতো; আর কমিশনার আমার ভাগ্য গণনা করছেন যখন রেডিওটা বাজছে, কিন্তু যাজক আমাকে একখানা

সাহিত্যই তার প্রতিবাদ: হান কাংয়ের ভাষায় প্রতিরোধ
“আমার ক্ষেত্রে, হিউম্যান অ্যাক্টস লেখার সবচেয়ে বড় প্রেরণা এসেছিল আমার নিজের ভেতর থেকে। আমাকে নিজের অন্তর্দিকে খুঁজে দেখতে হয়েছিল—কেন আমি বারবার মানুষ হওয়ার অভিজ্ঞতাকে বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি, তার কারণটা ধরার জন্য। তখন আমি ‘গোয়াংজু’র মুখোমুখি হই—একটি এমন ঘটনা যা আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং যন্ত্রণাদায়ক ধাঁধাগুলিকে সিল করে দিয়েছিল। সেই ঘটনার মাধ্যমে আমি শিখেছিলাম মানব স্বভাবের নির্মমতা এবং মহিমা সম্পর্কে।” হান কাং হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখিকা, যিনি

কবি সাহার রিজভির বিশেষ সাক্ষাৎকার

নুসরাত ফতেহ আলি খান: ধ্বনির মাঝে দ্যুতিময় এক আত্মা

আধুনিক বিজ্ঞানের জনক মুসা আল-খাওয়ারিজমি
